ভূরুঙ্গামারীতে ৮ বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত গ্রেফতার

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের উত্তর ভরতের ছড়া গ্রামে ৮ বছরের এক শিশুকন্যাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে সাঈম (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
গত ২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে নূর ইসলামের বাড়ির সামনে মাঠে ঘাস কাটতে গেলে অভিযুক্ত সাঈম শিশুটিকে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ঘাস কাটার শিক্ষা দেওয়ার অজুহাতে সে শিশুটিকে সামনে বসিয়ে পিছন থেকে জামা-কাপড় খোলার চেষ্টা করে।
শিশুটি নিজেকে রক্ষা করতে না পেরে চিৎকার করে ওঠে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে সাঈম পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং তার ছেঁড়া জামা দেখতে পান।
ঘটনার পর শিশুটির মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে অভিযুক্ত সাঈমকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (ভূরুঙ্গামারী সার্কেল) মোঃ মাসুদ রানার তত্ত্বাবধানে এবং ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আল-হেলাল মাহমুদের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদের সমন্বয়ে পুলিশ দল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আল-হেলাল মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশ সুপার (কুড়িগ্রাম) মহোদয়ের সার্বিক তদারকিতে নারী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা, নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এই মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কেউ করার সাহস না পায়।
এই ঘটনায় পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও জনগণের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, শিশুটির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে মামলার কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।
–জাহিদ খান, কুড়িগ্রাম
–ON/SMA