রায়পুরায় এনআইডি তথ্য পাচারের অভিযোগে দুই কর্মচারী আটক

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দুই কর্মচারীকে অর্থের বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত তথ্য পাচারের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কিছু কর্মচারী অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে এনআইডি তথ্য বিক্রি করছিল। তদন্তের সময় এনআইডির তথ্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় দুই কর্মচারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাহিদুল ইসলাম (পিতা: আব্দুল গফুর মিয়া, ঠিকানা: পূর্ব ব্রাহ্মন্দী, নরসিংদী পৌর শহর) এবং স্ক্যানিং অপারেটর আশিকুল ইসলাম। তদন্ত কমিটির সদস্যরা আশিকুল ইসলামের বিকাশ অ্যাকাউন্টে গত ছয় মাসে ১২ লাখ টাকা এবং নাহিদুল ইসলামের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ২ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন।
বুধবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দ্বীন মোহাম্মদ রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের একজন কর্মী অবৈধ উপায়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নাগরিক তথ্য হস্তান্তর করছিল। বিষয়টি তদন্ত করতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় দুইজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিইএ প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের পরিচালক (আইটি) উইং কমান্ডার সাদ ওয়ায়েজ তানভীর, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম এনলিস্ট, আইএস শাখা (এনআইডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এবং সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মো. মেহেদী হাসান।
উইং কমান্ডার সাদ ওয়ায়েজ তানভীর বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদে তারা তথ্য পাচারের কথা স্বীকার করেন। আশিকুল ইসলামের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১২ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে, আর নাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে এনআইডি সংশোধনসহ বিভিন্ন কাজ করতেন। তার অ্যাকাউন্টে ২ লাখ টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও আরও তদন্ত কার্যক্রম চালানো হবে।’
–হারুনূর রশিদ, নরসিংদী
–ON/SMA