নাগেশ্বরীতে ফ্যাসিস্ট অধ্যক্ষ গ্রেফতার, এলাকাবাসীর স্বস্তি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিনকে আজ (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কলেজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ ছিল। কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় এতদিন তিনি পদে বহাল থাকলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্রমাগত আন্দোলনের ফলে প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।
দেশব্যাপী ফ্যাসিস্ট অপসারণ অভিযানের মধ্যেও নাগেশ্বরী মহিলা কলেজে তিনি বহাল ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, কলেজের সভাপতির একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণেই এতদিন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ তীব্র হলে প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পরপরই কলেজ ও আশপাশের এলাকায় স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা উল্লাস প্রকাশ করে এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অবশেষে আমরা স্বস্তি পেলাম। এতদিন ধরে আমরা যে অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, প্রশাসন আজ তার জবাব দিয়েছে।’
নাগেশ্বরী থানার ওসি মো. রেজাউল করিম রেজা জানান, ‘জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয়দের মতে, জালাল উদ্দিনের গ্রেফতার ফ্যাসিস্ট অপসারণ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। তবে তারা চান, শুধু গ্রেফতার নয়, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একইসঙ্গে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির প্রভাব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
এই ঘটনার পর নাগেশ্বরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
–জাহিদ খান, কুড়িগ্রাম
–ON/SMA