কালের সাক্ষী: কচুয়ায় দুই শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ এখনো অটুট

কচুয়ার সাচার ইউনিয়নের নাগরপাড়া এলাকায় অবস্থিত একটি প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বছরের পুরোনো বটগাছ এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই গাছটি বহু প্রজন্ম ধরে এলাকাবাসীর ছায়া ও আশ্রয়ের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে এটি স্থানীয় দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কচুয়া সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সাচার নাগরপাড়া এলাকার বিলের পাশে অবস্থিত এই বিশাল বটগাছের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। গাছটির নিচে রয়েছে ঈদগাহ মাঠ, একটি টিউবওয়েল, নামাজ পড়ার স্থান ও একটি পারিবারিক কবরস্থান। কৃষকরা মাঠের কাজ শেষে এখানে বিশ্রাম নেন এবং টিউবওয়েলের পানি পান করেন।
বটগাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রধান কান্ড থেকে একাধিক ঠেসমূল নিচের দিকে নেমে এসে মাটির সাথে সংযুক্ত হয়ে গাছটিকে অতিরিক্ত ভার বহনে সহায়তা করছে। ফলে এটি বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
সাচার নাগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আসলেই এই গাছটির সঠিক বয়স আমরা কেউ জানি না। আমার বাবা-দাদাও এটি কত বছরের পুরোনো তা বলতে পারেননি। তবে দাদার মুখে শুনেছি, তিনি ছোটবেলায় এখানে এসে খেলাধুলা করতেন।’
একজন দর্শনার্থী নুরুল হক প্রধান বলেন, ‘শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরোনো একটি বটগাছ আছে, তাই দেখতে এলাম। চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এমন বিশাল বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে ভালো লাগছে, এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।’
স্থানীয়দের মতে, শতাব্দীপ্রাচীন এই বটগাছটি শুধু একটি গাছ নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি সংরক্ষণ করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।
–মো. মাসুদ মিয়া, কচুয়া
–ON/SMA