গোবিন্দগঞ্জে গরু-মহিষ ডাকাতির মূলহোতা গ্রেফতার, রহস্য উদঘাটন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গরু ও মহিষ ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে, ডাকাতির রহস্যও উদঘাটন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) গোবিন্দগঞ্জ থানার কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, গত ২৫ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বৈঠাখালি এলাকায় একটি গরু বোঝাই ট্রাক আটকে ডাকাতদল চালকসহ অন্যদের মারধর করে এবং তাদের চোখ বেঁধে জোরপূর্বক অন্য একটি ট্রাকে তুলে নেয়। পরে গরু বহনকারী ট্রাকটি ডাকাত দলের কয়েকজন নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুরের হাকিমপুর এলাকা থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, ২৬ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে কুড়িগ্রাম থেকে রাজশাহীগামী ৯টি মহিষ বোঝাই একটি ট্রাক একই কৌশলে ডাকাতি হয়। পরবর্তীতে, গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এবং সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) এর তত্ত্বাবধানে গোবিন্দগঞ্জ থানার একটি বিশেষ দল বগুড়ার মাটিডালি এলাকা থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এরপর, ৯ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের মৃত আলম মিয়ার ছেলে শিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হলে তিনি ডাকাতি এবং চোরাই গরু-মহিষ বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
সর্বশেষ, গত রোববার (৯ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে গরু ও মহিষ ডাকাতির মূলহোতা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের দিঘলী ফুলবাড়ী গ্রামের আমান উল্ল্যা শেখ ওরফে চিনু মিয়ার ছেলে সামিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে পুরো ডাকাতি চক্র ধরা পড়ে এবং ঘটনার রহস্য পুরোপুরি উদঘাটিত হয়।
এই প্রেস কনফারেন্সে থানার এসআই মানিক রানা উপস্থিত থেকে ওসিকে সহায়তা করেন।
–মো: জোবাইদুর রহমান (সাগর), গোবিন্দগঞ্জ
–ON/SMA