ঝালকাঠিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে গলাকেটে হত্যা, আটক ১

–নিহত দেলোয়ার হোসেনর ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান বাবু মৃধার
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের স্বল্পসেনা গ্রামে নিজ বাড়িতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য দেলোয়ার হোসেন মৃধা (৬৫)-এর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত শফিক উদ্দিন মৃধার ছেলে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সোহরাব হোসেন (৪০) নামে এক দিনমজুরকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার হোসেনের পরিবার ঝালকাঠি শহরে বসবাস করলেও তিনি একাই গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। বিকেলে তার ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান বাবু মৃধা খাবার নিয়ে আসলে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলে তিনি চৌকির ওপর বাবার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়।
হত্যার কারণ ও সন্দেহভাজন আটক
এলাকাবাসী জানায়, নিহত দেলোয়ার হোসেন গতকাল বাড়ির কাজের জন্য সোহরাব হোসেন নামে এক দিনমজুরকে কাজে নিয়োগ করেছিলেন। তার কাছে বাড়ির বাঁশ বিক্রির সাত হাজার টাকা ছিল। সোহরাব মাদকাসক্ত হওয়ায় ওই টাকা হাতিয়ে নিতেই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে সোহরাবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয়রা তাকে তার বাড়িতে পেয়ে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
স্বজনদের দাবি
নিহতের স্বজনরা জানান, দেলোয়ার হোসেন সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি পেনশনের টাকা তুলেছিলেন। এছাড়া তিনি আটক সোহরাবের শ্যালকের কাছে সাত হাজার টাকার বাঁশ বিক্রি করেন। সোহরাব দুই দিন ধরে তার বাড়িতে কৃষিকাজে সহায়তা করছিলেন। পরিবারের দাবি, টাকা নিতেই সোহরাব তাকে হত্যা করেছে।
পুলিশের বক্তব্য
ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে পাঁচ হাজারের বেশি টাকা ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
–মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি
–ON/SMA