শেরপুরে বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান বহিষ্কার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ

শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ মো. হজরত আলী ও সদস্যসচিব মো. ফরহাদ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানকে দলীয় পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না।”
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস জাকারিয়া বাদলকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দুই বিএনপি কর্মী সোহাগ ও রাহুলও আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
জাকারিয়া বাদলের স্বজন ও ছাত্রদল কর্মী রমজান আলী জানান, “আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সাথে জাকারিয়া বাদলের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এরই জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাদলসহ তিনজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় বাদলসহ তিনজনকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা।”
পরে স্থানীয়রা আহতদের শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠান, কিন্তু বাদল ও সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বাদলের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তরা এলাকায় তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় লুৎফর রহমান ও তার অনুসারীরা পলাতক রয়েছেন।
–মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর
–ON/SMA