শেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

শেরপুরে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, শেরপুরের উপ-পরিচালক মো. রাজীব-উল-আহসান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শেরপুর জেলা প্রশাসন এই সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী।
সভায় ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, মালিঝিকান্দা ও গড়জরিপা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ও এমারুল জাহিদসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় গ্রাম আদালতে মোট ৯১১টি মামলা দায়ের হয়, যার মধ্যে ৮৭৭টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। জমির ক্ষেত্রে আনুমানিক মূল্যসহ ২ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এই গ্রাম আদালত পরিপূর্ণরূপে চালু করতে সবাইকে সমানভাবে কাজ করতে হবে এবং যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের অনেক জনপ্রতিনিধি সালিশ করতে বেশি পছন্দ করেন, তবে গ্রাম আদালতের কোনো বিকল্প নেই। এটি যেন গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হয়। যেহেতু আজ এখানে কোনো জনপ্রতিনিধি উপস্থিত নেই, তাই আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করবো এটি গুরুত্ব দিয়ে প্র্যাকটিস করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, সেগুলোর নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি একটি আদালত, জজ কোর্ট ও গ্রাম আদালতের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কোর্ট কোর্টই এবং এর রায় বাধ্যতামূলক। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বড় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং এটি একটি সম্মানের বিষয়ও। আমাদের সবাইকে এই আদালতের প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’
সভাটি স্থানীয় সরকার শাখা, শেরপুরের সহকারী পরিচালক মোছা. আছমা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার পাঁচটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ৫২টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
–মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর
–ON/SMA