দিনাজপুরে আমের গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ

বিভিন্ন বাগানে গাছে গাছে নানা জাতের আমের মুকুলের ম-ম গন্ধ। শেষ মাঘের শীতেই দিনাজপুরে আসতে শুরু করেছে আমের মুকুল। সব গাছে এখনো না এলেও অধিকাংশ গাছে এসেছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে চাষিদের আশা এবার আমের ভালো ফলন হবে। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। এখন বাগানে বাগানে পরিচর্যায় ব্যস্ত মালিক ও ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ উন্নত পদ্ধতিতে আম চাষ ও রক্ষণাবেক্ষণের নানান পদক্ষেপ নিচ্ছেন; যাতে আমের ভালো রং, দাম ও ফলন পাওয়া যায়। তবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে যেমন উৎপাদন বাড়বে, তেমন সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পরিবহন, রপ্তানিসহ বাজারজাত করতে পারলে কৃষক ব্যাপক লাভবান হবেন, এমনটাই বলছেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে আম রপ্তানিতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান।
হিমসাগর, গোপালভোগ, মিশ্রীভোগ, ফজলি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, নাগফজলি, ব্যানানা, কার্টিমন, হাঁড়িভাঙা, রুপালি, বারি-৪, গৌরমতীসহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ হচ্ছে দিনাজপুরে। ফরুক হোসেন, জহুরুল ইসলামসহ কয়েকজন আম চাষি জানান, মুকুল আসার আগে আম গাছের পরিচর্যা করতে হয়। নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দেওয়া শুরু হয়েছে। এবার কিছুটা আগে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। গাছগুলোতে মুকুল আসতেই ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ীরা আসছেন এবং বাগানে বাগানে গিয়ে খবর নিচ্ছেন। আবার অনেকে আগাম আমবাগান কিনছেন। এ বিষয়ে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. আনিছুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া ও জাতের কারণে মূলত নির্ধারিত সময়ের আগে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সুস্বাদু হওয়ায় বিদেশেও রপ্তানি হয় এখানকার আম।
–সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন
–ON/SMA