জমি নিয়ে সংঘাত: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় এলাকাবাসী

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কসবা কাচারি পাড়ার বাসিন্দা ও ইয়ানুছ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হাবিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয় ব্যক্তির নামে থানায় ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে বাদী শফিকুল ইসলামের পরিবার প্রাণনাশের হুমকির মধ্যে রয়েছে।
বাদীর দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোঁপাঘাট এলাকার বাসিন্দা ও মৃত সামছুল হকের ছেলে সহিদুল রহমানের কাছ থেকে সাবকওলা দলিলমূলে পৌনে ৭১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন শফিকুল ইসলাম। জমি ক্রয়ের পর থেকে শফিকুল ইসলাম উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছেন।
তবে, গত ৫ আগস্ট দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পর সহিদুল রহমান গং শফিকুল ইসলামের ক্রয়কৃত জমি জবরদখলের চেষ্টা করে। এছাড়া, শফিকুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেয়।
গত ২৩ জানুয়ারি শফিকুল ইসলাম ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গেলে হাবিবুর রহমান গং তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও হত্যার চেষ্টা চালায়। শফিকুল ইসলামের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হাবিবুর রহমান গং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম একই দিন সদর থানায় হাবিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, তিনি শেরপুর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আরেকটি মামলা করেন (মামলা নং: ২১/২৫, ২৩ জানুয়ারি)।
তবে মামলা চলমান থাকলেও হামলা ও হুমকির আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার।
চরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. রজব আলী মুঠোফোনে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জমির ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নগদ টাকা দিয়ে আইনগতভাবে রেজিস্ট্রিমূলে জমি ক্রয় করেছি। কিন্তু হাবিবুর রহমানের এমন কর্মকাণ্ডে আমি হতবাক। প্রশাসনের কাছে আমি তার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জমি বিক্রেতা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী মনে করেন, প্রশাসনের শক্ত হস্তক্ষেপেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। অন্যথায়, যেকোনো সময় সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে।
-মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর
ON/RMN