ঘূর্ণিঝড় রেমালের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটির কুশঙ্গল নিকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে। সরকারি বরাদ্দে মেরামতের কথা থাকলেও কাজ না করেই বিল উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে। এতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের একটি অংশে গাছ পড়ে ক্ষতি হয়। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদনে দেখানো হয়, পুরাতন ভবনসহ সীমানা প্রাচীরের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। মেরামতের জন্য বিদ্যালয়কে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হয় না। এছাড়া প্রাচীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ এখনো মেরামত করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহেল বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক সপ্তাহে দুই-তিন দিন নামমাত্র কিছু সময়ের জন্য স্কুলে আসেন। পড়ালেখার কোনো শৃঙ্খলা নেই। শিক্ষকেরা ১১টার পরে স্কুলে আসেন। সীমানা প্রাচীরও এখনো মেরামত করা হয়নি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আসলাম শিকদার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বরাদ্দের বিষয়টি জানি না। কোনো কাজ হলে আমরা অবশ্যই জানতাম।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই উপসচিব, বেশি ঘাটাঘাটি করলে চাঁদাবাজি মামলা করবো। এগুলো নিয়ে নিউজ হলেও আমার কিছুই হবে না।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অনিতা রানী দত্ত বলেন, ‘সীমানা প্রাচীর ও পুরাতন ভবনের মেরামত না হলেও বরাদ্দের টাকা সরকারি নিয়ম মেনে ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আ. ব. ম আসাদুল আলম বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল বিদ্যালয়ের মেরামত ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের বরাদ্দের টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়।
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি
ON/RMN