সোনারগাঁয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে তিতাসের কর্মীদের ওপর হামলা

সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মিরেরটেক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলা করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে এই হামলা ঘটে।
এ ঘটনায় তিতাস গ্যাসের পাঁচজন কর্মকর্তা ও কর্মী আহত হন। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে সোনারগাঁ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের মেঘনা জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী সুরজিত কুমার সাহা জানান, জামপুর ইউনিয়নের মিরেরটেক এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে। এর ফলে সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। বুধবার ওই এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান চালানো হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে ওয়াহিদ এবং তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সোনারগাঁ থানার পুলিশ সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ওই এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার গ্যাস লাইনের পাইপলাইন তুলে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা ও কাঠের টুকরো নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, তিতাসের শ্রমিক ইব্রাহিম, খৈয়ম বেপারী, ইমু মিয়া সহ পাঁচজন আহত হন। তাদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফেরদৌস ইসলাম বলেন, ‘তিতাস গ্যাসের অভিযানে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে শতাধিক লোক একত্রিত হয়ে হামলা চালায়। এসময় প্রশাসনের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় এমন ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, ‘তিতাস গ্যাসের অভিযানে হামলার ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।’
-মোহাম্নদ আলমগীর হোসেন,সোনারগাঁ,নারায়ণগঞ্জ
ON/RMN