কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে শ্বশুরের ঘর থেকে বের করে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা ডাকত কিনা সেটি কোনো সূত্রে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। হতাহতরা কারো বাড়িতে ডাকাতি করেছে, এমন সতত্য না পাওয়ায় হত্যার ঘটনাটি নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালসুতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে নুরু মিয়া (২৮) ও একই উপজেলার পালাসুতা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৭)। অপর একজন আহত সদর দক্ষিণ থানার বাগমারা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে শাহজাহান। তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোড়ারচর গ্রামে ডাকাতি করতে এসে ধাওয়া খেয়ে ডাকাতদলের ৩ সদস্য পালাসুতা গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে- এমন খবর এলাকার মাইকে ঘোষণা করলে আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত লোকজন জড়ো হয়ে ডাকাত সন্দেহে নাবু মিয়ার ঘর থেকে তার মেয়ের স্বামী ও দুই বন্ধুকে ঘর থেকে ধরে এনে গণপিটুনি দেয়। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিহত ও আহতদের পরিচয় সর্ম্পকে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত নুরু মিয়ার শ্বশুরবাড়ি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে দুইরকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
ওসি বলেন, কেউ সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় ও কার বাড়িতে ডাকাতি বা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো- এমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তাদের অতীত কর্মকাণ্ড যাচাই করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মর্গে) পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।