পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয় দিয়ে অপরাধকর্ম করে বেড়ানো চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর জোয়ারিয়ানালা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ডিবির ইনচার্জ আহমেদ নাসির উদ্দিন আহমেদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম ভোমরিয়াঘোনা এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে লুৎফুর রহমান (৩৪), একই ইউপির মন্ডলপাড়ার ফেরদৌস মিয়ার ছেলে ইমরান হোসাইন (৩২), দরগাহপাড়ার বশির আহমদের ছেলে মুফিজুর রহমান (৩০) ও একই উপজেলার ইসলামাবাদ ইউপির খোদাইবাড়ী এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৪)। তাদের কাছ থেকে পুলিশের ব্যবহৃত একটি হ্যান্ডকাফ, একটি খেলনা পিস্তল, ইংরেজি অক্ষরে ‘ডিবি কক্সবাজার’ লেখা একটি কটি, তাদের ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
ডিবির ওসি আহমেদ নাসির উদ্দিন জানান, কিছু লোক বিভিন্ন সময় ডিবিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর নানা সদস্য পরিচয়ে লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর জোয়ারিয়া নালা ইউনিয়নস্থ নুরপাড়া জামে মসজিদের একটু দক্ষিণে রাস্তার ওপর অভিযান চালায় ডিবির একটি টিম। অভিযানে অটো ও মোটরসাইকেলসহ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে আসা চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে রামু থানা এলাকাসহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে লোকজনদের আটক, টাকা আদায়সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসার কথা স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিসহ পুলিশ বাহিনীর সুনাম চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রামু থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া সদস্য এবং তাদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তাদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।