ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটিতে চলছে গণগ্রেফতার। আর এর মধ্যেই দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীরা ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে হামলা চালানোর পর ব্রাজিলের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের পর ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের সাবেক কমান্ডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস বলেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেস-সহ ও অন্যান্যরাও রয়েছেন। তবে টরেস দাঙ্গায় কোনো ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্সি ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বাহিনীর আরেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দাঙ্গার পরে গ্রেফতার হওয়া প্রায় ১৫০০ জনকে পুলিশ একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৬শ জনকে পৃথক জায়গায় নেওয়া হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা পাঁচ দিন সময় পাবেন। ব্রাসিলিয়ার এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলাকেই দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে দেশটির কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্সি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর কয়েক হাজার সমর্থক। এদিন ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা।
একপর্যায়ে কংগ্রেস ভবনের ছাদে উঠে যায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।