ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ লাখ টাকা খরচ করে মহিলা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন নান্দাইল উপজেলার শিরিন সোলায়মান।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি। মাত্র ৯৪টি ভোট পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই নারী। কারণ ২০ লাখের মধ্যে ১১ লাখই সুদে নেওয়া। এ অবস্থায় একমাত্র সম্বল আধাপাকা বসতবাড়িটি বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে টাকা নেওয়া ভোটারদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরতের মিনতিও করবেন।
জানা গেছে, শিরিন সোলায়মানের স্বামী একজন মেকানিক। পাশাপাশি সোলায়মান ওয়ার্ড আওয়ামী কৃষকলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাড়িতে একটি আধাপাকা বসতঘর ব্যতীত তেমন সহায় সম্বল নেই। এরপরও তিনি সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীতা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু জিততে পারেননি।
এ বিষয়ে শিরিন সোলায়মান বলেন, নান্দাইল উপজেলা থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায় ১৮৫ ভোটের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। নিজের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তিনি আরও বলেন, চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চারজন, চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চারজন ও আচারগাঁও ইউনিয়নের একজন মেম্বার ব্যতীত প্রত্যেককে তিনি খামে ভরে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ত্রিশালে ছয়জন ও ঈশ্বরগঞ্জে ৩২ জনকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ওই সব ভোটাররা ওয়াদাও করেছেন তার মাইক প্রতীকে ভোট দেওয়ার। কিন্তু তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৯৪। এজন্য তিনি ভোটারদের স্বেচ্ছায় টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করবেন।