পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ।
আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় উপহার তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগের মামলায় সর্বসম্মতভাবে এই রায় দেয় দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ। তবে অসুস্থতার জন্য এক সদস্য সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। খবর জিও টিভির।
রায়ে ইসিপি বলেছে, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান আর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য নন। তিনি মিথ্যা হলফনামা জমা দিয়েছেন এবং দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।
তোশাখানা মামলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ইসলামাবাদের কমিশন সচিবালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
শুনানিতে ইমরান খানের আইনজীবী দাবি করেন, নিয়ম মেনে তোশাখানা থেকে উপহার কিনেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়। উপহার কেনার অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন কমিশনের সদস্যরা। জবাবে ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কমিশনকে দেবেন না।
এদিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরানের দল পিটিআই এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি বলেছে, তারা ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাবে। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে নামারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ২২ আগস্ট তোশাখানা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণার আবেদনটি নির্বাচন কমিশনে পাঠান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। ২৮ পৃষ্ঠার আবেদনে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে ৫২টি উপহার নিয়েছেন। তিনি আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে নামমাত্র মূল্যে এসব উপহার নিয়েছেন। অধিকাংশ উপহার তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।