প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোট্ট রাসেল সৈনিকদের দেখে নিজেও সৈনিক হতে চাইতো। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করতো। তাদের প্যারেড করাতো।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে এক টাকা করে দিতো। মা ওইসব শিশুদের জন্য চকলেট-বিস্কুট নিয়ে যেতেন। এছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত। সেই রাসেলসহ আমার পুরো পরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
তখন যারা মানবাধিকারের কথা বলছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় তারা কোথায় ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যারা আইন করেছে তাদের মুখে এখন ভোট, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারে এসে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে দেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আরা যুদ্ধ চাইনা, শান্তি চাই। বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক। আমাদের দেশের মানুষ ভালো থাকুক।