একাত্তর টেলিভিশন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে টকশোতে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বিষয় ছিল নুরের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ। তবে সে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজি হননি নুর।
ঘটনাটি এখানে শেষ হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই একাত্তরের যে সাংবাদিক তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার সেই ফোন নম্বরসহ এসএমএস নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন নুরুল হক নুর। সেই নম্বরে প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী চক্র ক্রমাগত অশ্লীল বক্তব্য ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ।
ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক এই ঘটনায় স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, যেকোনো টেলিভিশনে টকশোতে অংশ নেয়ার আহবান তিনি প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। কিন্তু সেই টেলিভিশনকে বয়কট করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে নুর যে তৎপরতা চালিয়েছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএফইউজে নেতারা বলেন, নুর একাত্তর টেলিভিশনের বিরুদ্ধে এই অবস্থান থেকে সরে এসে ক্ষমা না চাইলে তাকে গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
নুরের সে পোস্টে তার অনুসারীরা সবাইকে ১০ বার করে ঐ সাংবাদিকের নাম্বারে কল করে হেনস্থা করার জন্য কমেন্ট করতে থাকে। এরপর থেকে শুরু হয় ফোন, এস এম এস করে একাত্তরের সে সাংবাদিককে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল ও হত্যার হুমকি দেওয়া।
সাংবাদিকের সাথে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের এমন আচরণ গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে তৈরী করেছে অসন্তুষ্টি। ডাকসুর মতো বিশাল একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করা একজন ছাত্রনেতা ও তার অনুসারীদের এমন আচরনে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।